নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থায় ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারণ

নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থায় ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারণ

নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থায় কীভাবে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়?

যে বিনিময় হার বৈদেশিক মুদ্রার ক্রেতা ও বিক্রেতার চাহিদা ও জোগানের আপেক্ষিক তীব্রতা দিয়ে স্বাধীনভাবে দুটি দেশ স্থির করার সুযোগ পায়, তাকে নমনীয় বা পরিবর্তনীয় বিনিময় হার বলে।

নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থায় ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারণ

ধরা যাক, ভারত ও জাপান এই দুটি দেশের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্য চলছে এবং স্বর্ণমানের পরিবর্তে অপরিবর্তনীয় কাগজি মুদ্রামান চালু আছে। আমরা জানি, বিদেশ থেকে কোনো দ্রব্য আমদানি করা হলে দেশের পক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা হয়। অপরদিকে, বিদেশে যেসব দ্রব্য রপ্তানি করা হয় তার মূল্য এবং বিদেশ থেকে ঋণ বাবদ ও বিনিয়োগ বাবদ যে অর্থ পাওয়া যায় তার পরিমাণ হল বৈদেশিক মুদ্রার জোগান। তাই আধুনিক তত্ত্ব অনুসারে মুদ্রার বিনিময় হার লেনদেন উদ্বৃত্তের অপর নির্ভর করে।

নমনীয় বিনিময় হার ব্যবস্থায় ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারণ

রেখাচিত্রে OX অক্ষে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ এবং OY অক্ষে দেশীয় মুদ্রার পরিমাণ দেখানো হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদারেখা DF হল নিম্নগামী এবং জোগানরেখা SF হল ঊর্ধ্বগামী। রেখাচিত্রে ইয়েন ও টাকার বিনিময় হার যথাক্রমে R1, R2 এবং R3 দেখানো হয়েছে। R1 হারে 100 ইয়েন = 5 টাকা, R2 হারে 100 ইয়েন = 10 টাকা এবং R3 হারে 100 ইয়েন = 15 টাকা ধরা হয়েছে।

রেখাচিত্রে দেখা যাচ্ছে ইয়েন ও টাকার বিনিময় হার অনুসারে যতই টাকার অনুপাত বেশি দামি হচ্ছে, ততই তার চাহিদা কমছে, তাই চাহিদা রেখা নিম্নগামী। আবার, টাকার অনুপাতে ইয়েন যত দামী হয়ে উঠছে জাপানি ক্রেতাদের দৃষ্টিকোণ থেকে টাকা ততই সস্তা হচ্ছে। সুতরাং তারা বেশি করে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে চাইবে। আমদানির জন্য জাপানের চাহিদা স্থিতিস্থাপক হলেই ভারতের পক্ষে বেশি ইয়েন প্রাপ্তি সম্ভব হবে, নতুবা নয়।

রেখাচিত্রে E বিন্দুতে ইয়েনের চাহিদা ও জোগান রেখা পরস্পরকে ছেদ করেছে, তাই OR2 বিনিময় হারে ইয়েনের চাহিদা ও জোগান (OB) পরস্পর সমান হবে। যেক্ষেত্রে 100 ইয়েন = 10 টাকা। বিনিময় হার OR2-এর বেশি হলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা (DF) তার জোগান (SF) অপেক্ষা কম হবে। আবার, OR2-এর কম বৈদেশিক মুদ্রার দাম স্থির হলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা তার জোগান অপেক্ষা (DF > SF) বেশি হবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি পেয়ে OR2 হবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে- OR2 হারই হল বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ভারসাম্য হার।

Like our post?

We are available with lots and lots of commerce-related content.

Follow us on Facebook and Youtube  

Related posts

Leave a Comment